,

বন্ধ কক্ষ থেকে ৫ প্রবাসীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার :: বাবা-ছেলের মৃত্যু

সময় ডেস্ক : জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) ফোন পেয়ে সিলেটের ওসমানীনগরে বন্ধ একটি কক্ষের দরজা ভেঙে অচেতন অবস্থায় যুক্তরাজ্যপ্রবাসী পাঁচজনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর বাবা-ছেলেকে মৃত ঘোষণা করা হয়। অসুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে মৃত ব্যক্তির স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুর বাজার এলাকার একটি বাসার কক্ষ থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। মৃত ব্যক্তিরা হলেন যুক্তরাজ্যপ্রবাসী রফিকুল ইসলাম (৫০) ও তাঁর ছেলে মাইকুল ইসলাম (১৮)। রফিকুল ইসলাম ওসমানীনগর উপজেলার বড় দিরারাই গ্রামের বাসিন্দা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন রফিকুল ইসলামের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৪৫), ছেলে সাদিকুল ইসলাম (২৫) ও মেয়ে সামিরা ইসলাম (২০)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যপ্রবাসী পরিবারের পাঁচ সদস্য ১৮ জুলাই দেশে ফেরেন। তাঁরা ওসমানীনগরের তাজপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় ওঠেন। সেখানে শ্বশুর-শাশুড়ি, শ্যালক ও শ্যালকের স্ত্রী ছিলেন। ঘরে থাকা অন্য সদস্যদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী দুজন খাওয়াদাওয়া করে তাঁদের কক্ষে চলে যান। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত পরিবারের সদস্যরা ঘুম থেকে না উঠলে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দরজা ভেঙে অচেতন অবস্থায় পাঁচজনকে উদ্ধার করেছে। ফরিদ উদ্দিন আরও বলেন, ‘ছোট কক্ষটিতে পাঁচজন একসঙ্গে ছিলেন। এটি সাফোকেশন অথবা পয়জনিং হতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা করছি। পরবর্তীকালে যাঁরা ওই ঘরে ছিলেন, তাঁদের বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদে জানা যেতে পারে। যদি পয়জনিং হয়ে থাকে, তবে সেটি নিকটাত্মীয়দের দ্বারা হতে পারে। সাফোকেশন হয়ে থাকলে সেটি চিকিৎসকেরা পরবর্তীকালে বলতে পারবেন।’ ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মাঈন উদ্দিন বলেন, বাকি তিনজনের মধ্যে দুজনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।


     এই বিভাগের আরো খবর